প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ' বিশ্বব্যাপী জ্বালানি ও খাদ্য সংকট শুরু হয়েছে। সরকার ইতোমধ্যেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশের প্রতিটি মানুষকে যার যার জায়গা থেকে এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। কেননা উন্নত বিশ্বও এ পরিস্থিতিতে হিমশিম খাচ্ছে। তাই সবাইকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। সবাই মিলে একযোগে কাজ করলে আমরা সংকট এড়িয়ে এগিয়ে যাব।'
-বৈশ্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ' বিশ্বব্যাপী দুর্যোগ, মহামারি এবং যুদ্ধ চলছে। এ কারণে নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। একে তো করোনা মহামারি, তার ওপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং রাশিয়ার ওপরে যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্র দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা চলছে। ইউরোপ দাবদাহে পুড়ছে। বন পুড়ে যাচ্ছে; বিমানবন্দরের পিচ গলে যাচ্ছে। এককথায় বিশ্বব্যাপী সংকট শুরু হয়েছে। কাজেই আমাদের এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে।
-প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি ফেলে রাখা যাবে না। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। বিদ্যুৎ, গ্যাস, ফুয়েল ও পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। সংকট আসার আগেই সাবধান হতে হবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। সবাইকে সঞ্চয় বাড়াতে হবে। সেটা খাদ্য হোক বা জ্বালানি হোক, দুর্যোগ ও সংকট আসার আগেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
দেশের মানুষকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
'দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, একদিকে করোনাভাইরাস, অন্যদিকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ। এই যুদ্ধের সময় রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমেরিকা, ফলে আমাদের সার কিনতে সমস্যা হচ্ছে, খাদ্য কিনতে সমস্যা হচ্ছে। কারণ নিষেধাজ্ঞার কারণে ডলার দিয়ে কেনা যাচ্ছে না।'
'মানুষকে উৎপাদনে মনোযোগী হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'উন্নত দেশগুলোতেও খাদ্যের জন্য হাহাকার হচ্ছে। লন্ডনে এক লিটারের বেশি খাবারের তেল কেউ কিনতে পারে না। আমাদের তো এখনো ইচ্ছে করলে পাঁচ লিটার কিনতে পারছে। আমরা জোগাড় করে দিচ্ছি। তার পরও আমাদের করতে হবে।'